হাইভোল্টেজ এরকম একটা ম্যাচ যে শেষ পর্যন্ত এতটা একপেশে হয়ে পড়বে, সত্যি বলতে কী, কল্পনাও করতে পারিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে কলকাতা নাইট রাইডার্স হারল বললেও কম বলা হয়। বরং বলা উচিত, বিধ্বস্ত হল। প্রথমে ব্যাট করে সাত বল বাকি থাকতে ১০৭ রানে শেষ হয়ে গেল কেকেআর। মুম্বই হেসেখেলে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল মাত্র চার উইকেট হারিয়ে। প্রায় ছয় ওভার বাকি থাকতে। ফাইনালে রোহিত শর্মাদের লড়াই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের সঙ্গে।
কী কারণে কেকেআরের এরকম বিপর্যয়? ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হয়েছে। প্রথমেই বলব গৌতম গম্ভীরের ভুলে ভরা দল নির্বাচনের কথা। ইউসুফ পাঠানকে বসানোর কোনও যুক্তি খুঁজে পেলাম না। মানছি ইউসুফ রান পাচ্ছিল না। কিন্তু তাই বলে এরকম মন্থর পিচে ওকে খেলাবে না!
এই ধরনের উইকেটে আর স্পিনারদের বিরুদ্ধেই তো ইউসুফ বরাবর ভাল খেলে। তার চেয়েও বড় কথা, যে ছেলেটাকে টুর্নামেন্টের সমস্ত ম্যাচে খেলালে, হঠাৎ করে কোয়ালিফায়ারের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে তাকে বসিয়ে দিলে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ উইনারদের দলে রাখতেই হবে। সে যতই অফ ফর্মে থাকুক না কেন। অবাক হয়েছি কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে পীযূষ চাওলাকে খেলানোর সিদ্ধান্ত দেখেও। কুলদীপ ফর্মে থাকা বোলার। এরকম মন্থর পিচে সোনা ফলাতে পারত।
মুম্বই বোলারদের কৃতিত্ব দেব। তবে তার চেয়েও বেশি দোষ দেব নাইট ব্যাটসম্যানদের। ওরা তা প্রায় প্রত্যেকেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে এল। খুব বড় একটা রানের টার্গেট দেবে বলে শুরু থেকেই চালাতে গেল। এই উইকেটে সাফল্যের মন্ত্র হচ্ছে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকো। ১৪০ রান তুললেও কিন্তু কেকেআর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পারত।
গো নিউজ২৪/এনএফ